,

ইউএনও আমার কিছুই করতে পারবেন না :: আইডøবিও :: দেড় বছরে অফিস না করেও শায়েস্তাগঞ্জ লক্ষ লক্ষ লাখ টাকা নেন মিঠুন দাস

জুয়েল চৌধুরী : শায়েস্তাগঞ্জের উর্ধ্বতন সহকারি প্রকৌশলী পূত (আইডøবিও) মিঠুন দাসের নেপথ্যে রেলওয়ে স্টেশনে চলছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। দিন দিন তার অপকর্ম বেড়েই চলেছে। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্চে না। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজরাতুন নাঈম জানিয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আখাউড়া-শায়েস্তাগঞ্জ-ভৈরবের রেলের দায়িত্বে রয়েছেন মিঠুন দাস। কিন্তু তিনি দেড় বছর আগে যোগদান করলেও একদিনও শায়েস্তাগঞ্জে অফিস করেননি। প্রতিদিনই তার কার্যালয়টি তালাবদ্ধ থাকে। তবে তার অধীনস্থ একজন অফিস সহকারি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মালামাল রাখেন।
এ ছাড়া স্থানীয়রা জানান, মিঠুন দাস যোগদানের পর থেকেই যদিও শায়েস্তাগঞ্জ অফিস করেন না। তবে মাস শেষে তার সহকারিদের দিয়ে তার দেয়া অবৈধ দোকান পাট, বাসা বাড়ি থেকে প্রতিমাসে ৪/৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এদিকে তিনি অফিস না করায় সাধারণ মানুষ ও কর্মচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। আবার কেউ কেউ আখাউড়া থেকে তার স্বাক্ষর নিয়ে আসেন। রেলের অনেক কর্মচারী জানান, তিনি শায়েস্তাগঞ্জ না আসায় অনেক কাজকর্ম জমে থাকে। সপ্তাহে ১ দিন আখাউড়া গিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে আসেন। তবে যারা এই অবৈধ স্থাপনা দখল করে আছেন তাদের কাউকে কাগজপত্র দেননি। শুধু মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার অফিস এবং রেষ্ট হাউজ ও অফিসটি বন্ধ এবং সেখানে বিভিন্ন মালামাল স্তুপ করে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে মিঠুন দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও সাহেব আমাকে কিছুই করতে পারবে না। আমি আমার চাকরি করি। তবে যে সব সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা মিথ্যা বলে দাবি করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর